কক্সবাজারে আলোচিত হেডম্যান হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিসহ আটক ২

আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল :

কক্সবাজারের রামুর ব্যাঙডেবায় আলােচিত হত্যা মামলার প্রধান আসামী ও তার সহযােগীকে বান্দরবানের আলীকদম থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড একশ্যান ব্যাটালিয়ন র‍্যাব -১৫।

সূত্রে জানা যায়, বনবিভাগের গাছ চুরি ও জায়গা দখল নিয়ে শত্রুতার জের ধরে গত ১৬ জানুয়ারি আনুমানিক মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল সন্ত্রাসী (আনুমানিক ১২ জন) রামু বিট অফিসে গিয়ে স্থানীয় পাঁচজন পাহারাদারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টয়লেটে আটকে রেখে এবং ঐ অফিসের বিট কর্মকর্তা, মালির থাকার ঘর ও স্টাফ রুমের দরজায় বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

তারপর সন্ত্রাসীরা হেডম্যান আলী আহম্মদের ঘরে গিয়ে তাকে ধারালাে অস্ত্র দিয়ে এলােপাথারি কোপাতে থাকে এবং আলমারী ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে।

পরবর্তীতে এ সংক্রান্তে কক্সবাজারের রামু থানায় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের হলে উক্ত ঘটনাটি কক্সবাজারে ব্যাপক আলােড়ন সৃষ্টি হলে র‍্যাব-১৫ উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে অবগত হয়ে জড়িতদের গ্রেফতারের নিমিত্তে ছায়াতদন্ত শুরু করে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৫ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত হত্যাকান্ডের এজাহারভুক্ত ০১ ও ৫ নং আসামী সাজ্জাদ হােসেন ও মােঃ সানাউল্লাহ গ্রেফতার এড়ানাের লক্ষ্যে বান্দরবানের আলীকদমে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগােপনে আছে।

উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে র্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ২৪ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে আলীকদম বাজারের পাশে অভিযান পরিচালনা করে রামুর জোয়ারিনালার ব্যাঙডেবা এলাকার নুরুল আজিমের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন (২০) ও একই এলাকার নুর আহাম্মদের পুত্র সানাউল্লাহ (২১) কে আটক করে।

আটককৃত ব্যক্তিদের ইতােপূর্বে কক্সবাজারের রামু থানায় রুজুকৃত মামলা অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হেডম্যান আলী আহাম্মদ দীর্ঘ ২৮ বছর বনবিভাগের হেডম্যান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন এবং এলাকার মসজিদ কমিটি, স্থানীয় স্কুল কমিটিসহ সকল সামাজিক কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। বনবিভাগের গাছ চুরি ও জায়গা দখল নিয়ে শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীরা তাকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।